কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক অসহায় পরিবারের উপর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির আত্বিয়-স্বজন ও কর্মী-সমর্থকদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কিশোরপুর কুমারপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় ওই ভূক্তভোগী পরিবার রাতেই থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে হয়ে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের কিশোরপুর কুমারপাড়া এলাকায় বাড়ি করেন চাঁন মিয়া (৪০)। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছেন। সেখানে প্রতিবেশি আব্দুল হামিদ (৪২) ও লেবু মিয়া (৪৫) গংদের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। প্রায় সময় তারা চাঁন মিয়াকে মারপিট করার হুমকি দিয়ে আসছিল।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আব্দুল হামিদ গংরা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁন মিয়ার বাড়িতে এসে সীমানায় থাকা (প্রাচীরের) টিনের বেড়া ভাংচুর শুরু করেন। ঘটনা দেখে চাঁন মিয়ার স্ত্রী মহসিনা বেগম ও মেয়ে ইসমোতারা তাদের বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে এলোপাথারী মারপিট করে ঘরে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে। এ ঘটনায় মহসিনা বেগম ও তার মেয়ে ইসমোতারার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
সরেজমিন রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চাঁন মিয়ার বাড়ির সীমানার টিনের বেড়া ভাংচুরকৃত অবস্থায় রয়েছে। এ সময় চাঁন মিয়ার স্ত্রী মহসিনা বেগম ও মেয়ে ইসমোতারা অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল হামিদ, লেবু মিয়া, মিঠু মিয়া (২০), মামুন মিয়া (৩৫) সহ তাদের পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়ি ঘিরে রেখে আমাদের বেধড়ক মারপিট করেন। ঘরে থাকা সোকেজের ড্রয়ার ভেঙ্গে আমাদের সবার জন্মনিববন্ধন, বিবাহের কাগজপত্র, জাতীয়পরিচয়পত্রসহ গচ্ছিত টাকা লুট করে নিয়ে যান।
তারা সবাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আহসান হাবীব রানার আত্বিয়-স্বজন ও কর্মী-সমর্থক হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে আমাদের উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছেন। নদী ভাঙ্গনের কারনে নিঃস্ব হওয়ায় অভাব অনটনের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। তারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের উপর এ ধরনের হামলা চালিয়েছে। তারা দোষীদের বিচার দাবী করেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আহসান হাবীব রানা এলাকায় না থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে লেবু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।